
নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অনেক নেতার বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ পুরনো হলেও নতুন অভিযোগ এনেছেন ২০ দলের সমন্বয়ক এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। এলডিপির নেতা কর্নেল অলি আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে, বিএনপির একাধিক নেতা সরকারি টাকায় নির্বাচন করেছেন।
০২ ফেব্রুয়ারি এলডিপির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির একাধিক নেতা অলি আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে অলি আহমেদ ৫ জন শীর্ষনেতার নাম বলেছেন। যারা নির্বাচনের বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছ থেকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়েছেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও সুস্পষ্ট প্রমাণ হাতে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি জানতে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিএনপির নেতারা শুধুমাত্র অর্থ নিয়েছে তা নয়, অনেকে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য এবং এটা সমঝোতার ভিত্তিতে। সে কারণে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়কে উপেক্ষা করেছে।
কী ধরনের প্রমাণ আছে জানতে চাইলে অলি আহমেদ এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে ২০ দলের বৈঠক ডাকা হলে তিনি সেখানে তথ্য-প্রমাণগুলো উপস্থাপন করবেন। তবে এরইমধ্যে বিএনপির বেশকিছু নেতাকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলে জানান তিনি।
অলি আহমেদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, যে ৫ জন নেতা সরকারি অর্থে নির্বাচন করেছেন বলে অলি আহমেদ অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামও রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নামও তালিকায় রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, কর্নেল অলি আহমেদ যখন কোন বক্তব্য দেন তখন তিনি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই বক্তব্য রাখেন। অন্য রাজনীতিকদের মতো কখনো তিনি ঢালাও মন্তব্য করেননি। তিনি জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন। কাজেই তার বক্তব্যকে উড়িয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
তবে যে কারণেই অলি আহমেদ এই বক্তব্য রাখেন না কেন, এই বক্তব্য নিয়ে বিএনপিতে আরও একবার তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।