
নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে রোববার। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফলের সারসংক্ষেপ ঘোষণার পর দুপুর ১২টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফেসবুক লাইভের ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার কথা ছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রীর ব্রিফিং এক ঘণ্টা এগিয়ে সকাল ১১টা করা হয়েছে। এর ফলে এক ঘণ্টা আগে ফল পাবে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথমবারের মতো এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে না। শুধু ডিজিটালি ফল প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে এবং মুঠোফোনে ফল জানা যাবে। তাই পরীক্ষার্থীদের ফল জানার জন্য বা বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনে বিদ্যালয়ে না যেতে নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষাবোর্ড।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব পরীক্ষার্থীরা ফল পেতে রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের কাছে জিপিএ গ্রেডসহ সরাসরি ফল চলে যাবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে ওয়েবসাইট ও টেলিটকের এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল জানবে। এ কারণে সবাই রেজিস্ট্রেশন না করলেও উদ্বেগের কিছু নেই। ফল প্রকাশের পর ঢাকা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করার জন্য পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন তিনি।
এসএমএসে ফল জানতে প্রথমে পরীক্ষার নাম SSC, এরপর বোর্ডের নাম, এরপর পরীক্ষার রোল নং, পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। তাহলে ফিরতি এসএমএসে ফল চলে আসবে পরীক্ষার্থীর ফোনে। এছাড়াও দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটগুলোতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।