
নিউজ ডেস্ক : টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় না থাকার ব্যর্থতা স্বরূপ বিএনপির পক্ষ থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দোষারোপ করা হয়। অপরদিকে দলের সংকটাপন্ন সময়েও দলকে আঁকড়ে ধরে রাখার কারণে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তবে রিজভীকে ঘিরে নেতাদের এই প্রশংসাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না মির্জা ফখরুলপন্থী নেতারা। আর তাই রিজভীকে পরাস্ত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ছক তৈরি করা হচ্ছে বলে বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে থেমে নেই বিএনপির রিজভীপন্থী নেতারাও। তারা ইতিমধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ির সামনে বয়কট মির্জা ফখরুল নামে স্লোগান দিচ্ছেন। এ বিষয় জানতে চাইলে রিজভীপন্থী নেতারা বলেন, হিংসার আগুন প্রথমে মির্জা ফখরুল জ্বালিয়ে ছিলেন। কারণ তিন মাস আগে ৮ অক্টোবর তার সমর্থকরা নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন লাগায়। আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই বিএনপি কার্যালয়ের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় কোনো মতে বের হতে পারায় রিজভী আহমেদ প্রাণে রক্ষা পান। আর এ কারণেই আমরা বয়কট মির্জা ফখরুল স্লোগান দিতে বাধ্য হচ্ছি।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিবাদী নেতাদের দমিয়ে রাখতে কাজ করছে কিছু দালাল চক্র। শুনলাম, মির্জা ফখরুলের বাসার সামনে আন্দোলন হচ্ছে। তিন মাসে আগে পল্টন পার্টি অফিসে ইলেকট্রিক তার থেকে আগুন লেগে গিয়েছিলো। আমার ধারণা নাশকতা হতে পারে। প্রতিবাদী কণ্ঠকে রুদ্ধ করতে এই ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমার ধারণা, আগামী জাতীয় কাউন্সিলে মহাসচিব পদে রিজভী আহমেদের নাম বেশি বেশি আলোচিত হওয়ায় দলের কিছু অযোগ্য ও বিতর্কিত নেতারা তাকে ভয় দেখাতে হয়তে এই সাজানো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাদের ধারণা, রিজভী ভয় পেয়ে তার দায়িত্ব থেকে সরে আসবেন। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের উচিত শাস্তি দাবি করছি।