
নিউজ ডেস্ক: সাংগঠনিক ভঙ্গুরতা, দলীয় কোন্দল, প্রার্থী বাছাইয়ে অদক্ষতা ও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে অতীতের ন্যায় আবারও পৌর নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। মাঠের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণেই তাদের এই দৈন্যদশা বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটির তথ্যমতে, বিএনপিতে এখন সবাই রাজা। কেউ কারো নির্দেশনা মানেন না। উপরন্তু একে-অপরকে টপকে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে দলটিতে। ‘যেদিকে পানি পড়ে সেদিকে ছাতা ধরা’ নীতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি করেছে নানামুখী সমস্যা। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দলের দুর্দিনে মাঠে থাকা ত্যাগী নেতাকর্মীরা। কারণ, তারা অন্যের চরকায় তেল দিতে সম্পূর্ণরূপে অনভ্যস্ত।
শুধু তাই নয়, পরাজয়ের অন্যতম কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে অনেকেই সমর্থন করেননি। এমনকি প্রচারণার কাজে মাঠেও থাকেননি। এ দেখে দলীয় ভোটারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, বিএনপির দলীয় ‘চেইন অব কমান্ড’ কতোটা শক্তিশালী! এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার নেপথ্য গল্পতো রয়েছেই!
নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মানুষও উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পক্ষান্তরে নিজেদের ভুলে নিজেদের পায়েই কুড়াল মেরেছে বিএনপি। গ্রুপিং-কোন্দল, মনোমালিন্য আর তারেক রহমানের স্বৈরাচারী মনোভাবের বলি হয়ে নিশ্চিত করেছে নিজেদের পরাজয়।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞজনের সঙ্গে কথা হয় বাংলা নিউজ ব্যাংকের। তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, পান থেকে চুন খসলেই সরকারকে দোষারোপ করে বিএনপি। এটা দলটির পুরনো বদভ্যাস। এবারের পৌর নির্বাচনেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মূলত দল গোছাতে ও দল পরিচালনা করতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দলটির নেতাকর্মীরা বরাবরই এমনটা করে আসছেন। তাই তাদের থেকে সরকারসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নইলে অতীতের ন্যায় আবারও বিএনপি নেতৃবৃন্দ ‘উদর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হবেন। করবেন সীমাহীন মিথ্যাচারও।