
নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মকাণ্ড না থাকায় জেলা-উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক নেতারা বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ‘ম্যানেজ’ করে চলছেন। প্রভাবশালীদের সঙ্গে এসব নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগও রয়েছে বলে জানা গেছে। সারাদেশের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মন্টু বরিশালে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বিএনপির সহিংস আন্দোলনে অংশ নিলেও তার নামে কোনো মামলা নেই। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদারি ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
অপরদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর ঝালকাঠিতেই থাকেন। নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মতো তিনিও ‘ম্যানেজ’ প্রক্রিয়ায় এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য চালাচ্ছেন।
বগুড়া প্রতিনিধির পাঠানো খবর- জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের রয়েছে তিনটি ফিলিং স্টেশন, ট্যাংক-লরির ব্যবসা। সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চানের রয়েছে রড-সিমেন্টের ব্যবসা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সবই চালু রয়েছে। এ দুই নেতার বিরুদ্ধে তিনটি করে মামলা রয়েছে। যদিও তারা প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছেন।
রংপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর- একাধিক মামলায় বিপর্যস্ত রংপুর মহানগর বিএনপি। জেলা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে তেমন মামলা না থাকলেও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দুই শতাধিক নেতার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা শিল্পপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। তারা মামলার শিকার হননি।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৩টি মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও ‘ম্যানেজ’ প্রক্রিয়ায় তারা এলাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করছেন।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও ‘ম্যানেজ’ নীতি অবলম্বনকারী উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খুররম খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা নেই। তবে উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দার উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে রয়েছে দুইটি মামলা।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন- বিএনপির নেতা-কর্মী অনেকের বিরেুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। মামলা-মোকদ্দমার কারণে তাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক।
পিরোজপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর- জেলায় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হলেও জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মাত্র একটি করে মামলা হয়েছে। শীর্ষ এই দুই নেতা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ‘ম্যানেজ’ করেই চলছেন।