
নিউজ ডেস্ক: দেশব্যাপী সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে। সরকারদলীয়দের পাশাপাশি বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও এই টিকা গ্রহণ করেছেন এবং সবাইকে নির্ভয়ে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে এবার টিকা গ্রহণে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তাতে বাগড়া দিচ্ছেন খালেদার জ্যেষ্ঠপুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, সরকারের দুই দফায় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে প্রায় ১০ মাস ধরে রাজধানীর গুলশানের ভাড়া বাড়ি ‘ফিরোজা’তে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শুরু থেকেই সেখানে একান্ত আস্থাভাজন দলীয় নেতাকর্মী, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও পরিবারের লোকজন আসা-যাওয়া করছেন। তাদের মাধ্যমেই মিললো নতুন তথ্য। টিকা নিতে চান খালেদা। কিন্তু তাতে ঘোর আপত্তি তারেকের। তার ভাষ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ কেন? টিকা যদি নিতেই হয়, তবে অন্য দেশের টিকা নিতে দোষ কোথায়?
বিএনপি নেত্রীর পারিবারিক সূত্র বাংলা নিউজ ব্যাংকের এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকা নিতে ইতিবাচক অবস্থানে আছেন খালেদা জিয়া। তবে বিএনপি প্রধান কবে ভ্যাকসিন নেবেন, তা এখনই স্পষ্ট নয়। হয়তো তারেকের সঙ্গে এ ব্যাপারে সৃষ্ট জটিলতা কাটলেই তিনি টিকা গ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের (খালেদার) টিকা নেয়ার চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে তার কোনও নেগিটিভিটি নেই। উনি পজিটিভ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ম্যাডামের টিকা গ্রহণের বিষয় নিয়ে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। এটা তার পরিবার ও চিকিৎসকরা দেখভাল করবেন। টিকা তো সবাইকেই নিতে হবে । আমরা টিকা নিয়ে ডিপ্লোম্যাসি করছি না, টিকা নিয়ে রাজনীতি করছি না। টিকা যেহেতু দেয়া হচ্ছে, আমরা সবাই নেবো।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, খালেদা জিয়া টিকা নিতে চাইলেও তারেক তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কারণ, টিকা ভারত থেকে আনা। টিকা নিয়েও এখানে তার রাজনৈতিক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। অথচ ‘কোভিশিল্ড’ দেশের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও নিচ্ছেন। বাদ যাননি তার দলেরও নেতাকর্মীরা। তবে কেন তারেকের এই নোংরামি মনোবৃত্তি?