
নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মির্জা আব্বাসকে খুব একটা দেখা যায় না। যার কারণে মির্জা আব্বাসের এমন অবস্থা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে চলছে নানা গুঞ্জন। বলা হচ্ছে, ক্রমাগত অবহেলায় দলের প্রতি অভিমান করে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন মির্জা আব্বাস।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি-দলের উপর রাগ করেই তিনি রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন। এছাড়া তিনি আশা করেছিলেন, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস সংসদে দলের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পাবেন। অথচ সংসদ সদস্যের পদ দেয়া হলো রুমিন ফারহানাকে। যার কারণে বিগত দুই বছর ধরে আফরোজাও দলীয় কর্মকাণ্ডে কম উপস্থিত হন।
গয়েশ্বর আরো বলেন, আফরোজাকে মূল্যায়ন না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলো আব্বাস পরিবার। এই ক্ষোভ এখনো বিরাজমান। উক্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ বিভিন্ন সময় তারা তারেক রহমানের সমালোচনা করেছিলেন। এর ফলে মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী শেষ পর্যন্ত বিএনপি ছাড়বেন কিনা কিংবা তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
এ প্রসঙ্গে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস বিএনপির সবচেয়ে বড় ডোনার। ২০ দলের অধিকাংশ নেতাই মনে করেছিলো আফরোজা আব্বাসকে মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু উপযুক্ত মূল্যায়ন তাকে করা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি এই কারণেই আব্বাস পরিবার গত ২ বছর ধরে বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তবে মনে রাখতে হবে, মির্জা আব্বাসের মতো নেতা বিএনপি ছেড়ে দিলে আগামীতে বিএনপিকে বিপদে পড়তে হতে পারে।