
নিউজ ডেস্ক : চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ ডোজ ভুয়া করোনা ভ্যাকসিন জব্দ করা হয়েছে। জানা যায়, ভ্যাক্সিন ব্যবসা লাভজনক হওয়ায়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনার ভুয়া ডোজ বিক্রি করে ব্যবসা করতে চাইছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ভুয়া ভ্যাকসিনের ব্যবসা সফল হলে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশেও ভুয়া ভ্যাকসিন সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিলো তার।
ইন্টারপোলের বরাত দিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনে তৈরিকৃত করোনার ভুয়া ভ্যাকসিন চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।
ইন্টারপোলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের বাইরে জারিমিস্টনের একটি গুদামঘর থেকে ৪০০ শিশি তথা প্রায় ২ হাজার ৪০০ ডোজ ভুয়া ভ্যাকসিন জব্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে নকল মাস্কও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন লন্ডন বংশভুত বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেখানকার সূত্র ধরে চীন থেকেও ভুয়া ভ্যাকসিন বিক্রেতার একটি চক্রকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারপোল।
চীনে ভুয়া টিকা উৎপাদনকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৮০ সন্দেহভাজনকে আটক ও ৩ হাজার ডোজ ভুয়া টিকা জব্দ করা হয়েছে। যেখানের ৭০ জনই লন্ডনে বসবাসরত বিএনপি সমর্থিত বাঙালি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই বছরের শুরুতেই ইন্টারপোল সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে সতর্ক করে একটি অরেঞ্জ নোটিশ জারি করেছিল। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, করোনা মহামারিতে অনলাইন ও অফলাইনে অপরাধী চক্র সংঘবদ্ধভাবে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত অপরাধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইন্টারপোল জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সংস্থাটি অন্যান্য দেশের নার্সিং হোমের মতো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ভুয়া ভ্যাকসিন বিতরণ ও জালিয়াতির প্রচেষ্টা সম্পর্কিত কিছু রিপোর্টও পেয়েছে।
ইন্টারপোল আবারো সতর্ক করে বলেছে, অনুমোদিত কোনো ভ্যাকসিনই বর্তমানে অনলাইনে বিক্রির জন্য পাওয়া যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওয়েবসাইটে বা ডার্ক ওয়েবে যেসব ভ্যাকসিনের কথা প্রচার করা হচ্ছে সেগুলো কোনোটাই আসল না এবং এগুলো বিপজ্জনক হতে পারে।’
ডিসেম্বরে জার্মান সাপ্তাহিক ভিরৎশাফৎসভোচে-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল জারগেন স্টক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরুর পর এ সম্পর্কিত অপরাধ বাড়তে পারে। চুরি ও গুদামঘরে হামলা ও ভ্যাকসিনের চালান ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও তিনি হুশিয়ার করেছিলেন।