
নিউজ ডেস্ক: বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য ক্ষমতাসীনদের দোষারোপ করা বাদ দিয়ে এবার দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনায় মেতেছেন দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
নেতারা মনে করেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। ফলে দু বছরেও মুক্তি মেলেনি খালেদা জিয়ার। দলীয় প্রধানের মুক্তি ও দলকে বাঁচাতে অবিলম্বে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যর্থতার বিষয়টি স্বীকার করে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় তার মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা। অথচ সেই আন্দোলনও গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এরপরও তৃণমূলের চাপে পড়ে কেন্দ্র যেসব কর্মসূচি পালন করছে তা যথেষ্ট নয়।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি- বিএনপির নেতৃবৃন্দ এই ঈদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছেন। শুনতে খারাপ লাগলেও এটি সত্য যে, আন্দোলন করার মতো যে পরিমাণ সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রয়োজন, সেটি বিএনপির আপাতত নেই।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির যেসব গুরুত্বপূর্ণ নেতা দলের দায়িত্বে রয়েছেন তারা আমার দৃষ্টিতে ব্যর্থ। অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তারা, যার কারণে বেগম জিয়া জেলে আর বিএনপি প্রেস ব্রিফিংয়ের রাজনীতিতে আটকে গেছে। আমি বলতে চাই, বিএনপির এই স্ট্যান্ডিং কমিটির সকলের পদত্যাগ করা উচিৎ। এই কমিটি দল পরিচালনার জন্য আনফিট। দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য বিরোধী দল নয় বরং আমাদের ভীতির রাজনীতি দায়ী।