নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বেগম খালেদা জিয়াকে অবমুক্ত করতে সাড়ে তিন বছর যাবৎ কোনো প্রকারের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়নি বিএনপিকে। বিগত সাড়ে তিন বছরে নেত্রীর মুক্তির জন্য কেবল প্রেসব্রিফিং, মানববন্ধন, লোক দেখানো অনশন ও অভিযোগ-অনুযোগে সীমাবদ্ধ ছিলো বিএনপির হাইকমান্ড। তবে হঠাৎ করে বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে নতুন করে তোড়জোড় শুরু করেছে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। অনেকেই জামিন প্রক্রিয়ায় না এগিয়ে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। এমনকি খোদ মির্জা ফখরুলও নেত্রীর মুক্তির জন্য সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তবে বেগম জিয়া কী চান বা মুক্তি নিয়ে তার মনোভাব কী- সেটির সম্পর্কে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সন্দিহান বলে জানা গেছে।
এদিকে দলীয় নেত্রীর মনোভাব না জেনেই জামিন বা প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিএনপি নেতাদের দৌড়ঝাঁপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। তারা বলছেন, বেগম জিয়া কী চান- সেটি আগে সঠিকভাবে জানতে হবে মির্জা ফখরুলদের। নেত্রীর মুখ থেকে মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত না হয়ে অনুমান নির্ভর তথ্যপ্রদান করায় এরইমধ্যে বিএনপি দেশব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের আরো বেশি পেশাদারি আচরণ করারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি নেতারা সন্দিহান বলে মনে করছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘকাল রাজনীতি করলেও মির্জা ফখরুলরা বেগম জিয়াকে চিনতে পারেননি। এছাড়া বিপদের দিনে কীভাবে দলকে টিকিয়ে রাখতে হয় সেই জ্ঞানও অর্জন করতে পারেননি তারা। তাদের উচিত ছিলো- বেগম জিয়া কী চান সেটি জেনে মুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা। কেউ চান জামিন, আবার কেউ চান প্যারোল! কতটা খামখেয়ালি হলে গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরুদ্ধে এমন বিভক্তিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন নেতারা!
তিনি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কঠোর সমালোচনা করে আরো বলেন, জয়নাল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব, এমনকি ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনকে বেগম জিয়ার মামলার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত। তারা এই দু’বছর কেবল জামিন নিয়ে জাবর কেটেছেন। তাদের ব্যর্থ আইনজীবী বলতে আমি দ্বিধাবোধ করবো না। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য নিবেদিত নেতা-কর্মীর বড় অভাব দেখছি বিএনপিতে।