নিউজ ডেস্ক : সাড়ে তিন মাসের বেশি ঢাকায় অবস্থানের পর লন্ডনে ফিরে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তিনি ঢাকা ছাড়েন এবং সোমবার (১৭ জানুয়ারি) লন্ডনে পৌঁছেন।
এর আগে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) লন্ডনে যান কোকোর বড় মেয়ে জাহিয়া রহমান। জানা যায়, দুবাই পড়ে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারে তিনি তড়িঘড়ি করে লন্ডনে গিয়েছেন।
সম্প্রতি দুবাই সরকার দীর্ঘদিন দেখভাল না করা সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনে মনোনিবেশ করে। পরে বেরিয়ে আসে দুবাইয়ে পড়ে থাকা সম্পদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রায় ১০০ বিঘা জমি রয়েছে। এ খবর তারেক রহমান জানা মাত্রই মেয়ে জাইমা রহমানকে দুবাই পাঠিয়ে উক্ত যায়গায় ডান্সবার ও স্পা’র ব্যবসা করার প্রস্তুতি নেন। আর এ খবর শর্মিলার কানে গেলে সব ফেলে দুবাইয়ের সম্পদে নিজেদের ভাগ বসাতে লন্ডনে ফিরে যান তিনি ও মেয়ে জাহিয়া রহমান।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে, আইন অনুসারে খালেদা জিয়ার সম্পত্তিতে তারেক রহমানের পাশাপাশি কোকোরও অধিকার রয়েছে। ফলে কেউ চাইলে নিজের ইচ্ছামতো ডান্স বার তৈরি করতে পারে না। নিঃসন্দেহে দুবাইয়ের ১০০ বিঘা সম্পত্তিতে শর্মিলার অধিকার রয়েছে। আর সম্পত্তি বুঝে পেতে শর্মিলার লন্ডন যাওয়া দোষের কিছু না। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, দুবাই শহরে খালেদা জিয়ার প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে সেসব সম্পত্তির কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না তিনি। এ কারণে খালেদাসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে দখল নিতে চাইছে দুবাই সরকার। দুবাইয়ের যুবরাজ হামদান বিন মোহাম্মাদ আল মাখতুম বলেন, ‘আমরা এমন ৯৫৬ বিঘা জমি পেয়েছি। যার খোঁজ বিগত ১৫ বছর ধরে কেউ নিচ্ছে না। আর এ কারণে আমরা সেসব সম্পত্তিকে বাজেয়াপ্ত করছি’।