নিউজ ডেস্ক : বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিএনপির। সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের ২৭ সেকেন্ডের নগ্ন ভিডিও ভাইরাল হবার পর এবার ভাইরাল হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় মেয়ে জাইমা রহমানের অশ্লীল ভিডিও। থার্টি ফাস্টের পার্টিতে কতিপয় কালো পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর দৃশ্য অসাবধানতাবশত ফাঁস হওয়ায় জাইমা রহমানের গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে কথা বলতে রাজি হয়েছেন অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হওয়া নেত্রী শামা ওবায়েদ। তিনি বলেন, আপনারা শুধু ভিডিও দেখেই আনন্দ পান। কিন্তু এসব অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হবার পর একজন মেয়ের মনে কি অনুভূত হয়, সে বিষয়ে আপনাদের কোনো ধারণা নেই। আমি জাইমার সঙ্গে আছি। তবে দুঃখের বিষয়, আমার ভিডিও ভাইরাল হবার পর আমার আশেপাশে কোনো নেতাকে পাইনি। অথচ, এর আগে বিএনপির অসংখ্য নেতা আমাকে রাত বিরাতে ফোন দিয়ে নিজের কামনা বাসনা পূরণের জন্য আকুতি করতেন। কিন্তু বিএনপি নেতার সঙ্গে আমার ভিডিও ভাইরাল হবার পর সেই বিএনপি নেতারাও এখন আর আমার ফোন ধরেন না। শুনছি বিএনপির পক্ষ থেকে আমাকে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা আসছে। অথচ যে নেতা আমার সঙ্গে রাত কাটিয়েছে, সে নেতাকে কেউ কিছু বলছে না। পৃথিবীতে সুন্দর নারী হয়ে জন্মানো অনেক কষ্টের। বর্তমানে সকলে জাইমার ভিডিও সম্পর্কে কথা বলছেন, কিন্তু কেউই সেই কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের কথা বলছেন না। মনে রাখবেন, এক হাতে তালি বাজে না, নিশ্চয় জাইমার সঙ্গে সঙ্গে সেই কালো পুরুষও সমানভাবে এই কাণ্ডের জন্য দায়ী।
উল্লেখ্য, জাইমার অশ্লীলতা ছড়ানোর ভিডিও এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ভিন্ন পার্টিতে উদাম বেহায়া পনায় জড়িয়ে জাইমার ভিডিও ভাইরাল হয়।
এ প্রসঙ্গে শামা ওবায়েদ বলেন, ভিডিও ভাইরাল লজ্জার বিষয় নয়। বরং গর্বের বিষয়। এসবের মাধ্যমে আলোচনায় আসা যায়। আমার ভিডিও ভাইরাল হবার পর থেকে গত ১৫ দিনে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছে আমার নাম। যা গুগলের ১৫ দিনের হিসেবের সার্চে পর্ণ তারকা মিয়া খলিফাকেও হার মানায়। আশা করছি, জাইমার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এবার জাইমা গুগল সার্চে সানি লিওনকেও পেছনে ফেলতে পারবেন।