নিউজ ডেস্ক: ঈদের পর থেকে বিএনপির ভেতরে শুরু হয়েছে ক্ষমতার লড়াই। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। তারেক রহমানের দেশ ও বিদেশে ইমেজ সংকট, দেশে ফেরার অনিশ্চয়তা ও দলে নারী নেতৃত্বের গুরুত্বের কথা ভেবে বেগম জিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন মহলে বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে শর্মিলা রহমানের নাম আলোচিত হওয়ায় তাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লন্ডনে অবস্থানকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান। দলের নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলার শঙ্কায় শর্মিলার সাথে শুরু হয়েছে তারেক দম্পতির শীতল যুদ্ধ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপিতে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান বেগম জিয়া। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দলের জন্য নারী নেতৃত্ব একটি নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করে বলেই মনে করেন বেগম জিয়া। এছাড়া তারেক রহমানের বিষয়ে দেশ-বিদেশে নানা মহলে অনীহা, দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ও জোবায়দা রহমানের অপরিপক্কতার বিষয়টি মাথায় রেখেই শর্মিলাকে বেছে নিচ্ছেন বেগম জিয়া। যার কারণে লন্ডনে ঈদ উদযাপন শেষে দেশে ফিরে শাশুড়ি বেগম জিয়ার সাথে দেখা করবেন বলেও লন্ডনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
শর্মিলা যাতে দেশে ফিরে যেতে না পারেন, তাই জোরপূর্বক তার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়েছেন তারেক। দেশে ফেরার বিষয়ে শর্মিলাকে নিরুৎসাহিত করতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করছেন তারেক। এমনকি দেশে ফিরলে বিভিন্ন মহল দ্বারা নিগৃহীত ও নির্যাতিত হওয়ারও ভয় দেখাচ্ছেন শর্মিলাকে। পাশাপাশি জোবায়দাও চেষ্টা করছেন শর্মিলার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করতে। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত তারেকপন্থী নেতাদের মাধ্যমে ফোন করিয়ে শর্মিলাকে থামিয়ে রাখার গোপন চেষ্টা করছেন জোবায়দা।
শর্মিলার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, বেগম জিয়া শর্মিলাকে বেশি পছন্দ করেন। কারণ জেলে থাকার সময় শর্মিলা একাধিকবার এসে তার সাথে দেখা করেছেন। তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। যা তারেক দম্পতি করেনি। এছাড়া শর্মিলাকে বুদ্ধিমত্তা ও বিবেচনাবোধের বিচারে তারেকের চেয়ে বেশি যোগ্য মনে করেছেন বেগম জিয়া। যার কারণে সব কিছু ঠিক থাকলে শর্মিলার হাতেই তুলে দেবেন বিএনপির দায়িত্বভার। কারণ শর্মিলা যেহেতু বিধবা এবং বেগম জিয়াও বিধবা অবস্থায় দলের দায়িত্ব নিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। শর্মিলার মাধ্যমে দল নতুন করে চাঙ্গা হয়ে উঠবে, এমন আশা নিয়েই তাকে দায়িত্ব দিতে চান বেগম জিয়া। কিন্তু বিষয়টি সহ্য হচ্ছে না তারেক দম্পতির। তাই তারা শর্মিলার পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যা জেনে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বেগম জিয়াও।
বিএনপির বর্তমান এই পরিস্থিতিই প্রমাণ করে, শর্মিলা তারেকের চোখে চোখ রেখে হুঙ্কার দিয়ে বলছেন, তুইও সমান, আমিও সমান।