বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব প্রতিদিন হ্যালুসিনেশনের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে শ্রীলঙ্কা যান। আর বাংলাদেশকে জড়িয়ে কল্পনাপ্রসূত নানা কথা বলেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের এমন শিখরে পৌঁছেছে যে উত্তরোত্তর উন্নয়ন ছাড়া আগামীতে আমরা কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে থাকব না। আমাদের অর্থনীতি তার নিজস্ব স্বকীয়তায় অনেক মজবুত। এটিকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সাথে তুলনা করা হাস্যকর।’
সেতুমন্ত্রী শনিবার মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নিজেদের ঘরের ঐক্য ধরে রাখতে পারে না তারা দলের পক্ষে জনগণের ঐক্য কিভাবে আশা করে? তারা তাদের দলীয় চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে একটা সমাবেশ পর্যন্ত করতে পারেনি। অন্যের সমালোচনা তাদের মুখে শোভা পায় না। ’
পদ্মা সেতুর বিয়য়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী মাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। এটি দেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সুখবর। ’
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেমিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। উদ্বোধনী পর্ব শেষে নতুন কমিটি গঠন বিষয়ক দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়ামে।
মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১৫ সালের ৮ মার্চ। এ সম্মেলনে প্রফেসর ডাক্তার সিরাজুল আকবর এমপিকে সভাপতি ও পঙ্কজ কুমার কুন্ডু সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ৯ মার্চ নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর আকবর মৃত্যুবরণ করেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তানজেল হোসেন খানকে কেন্দ্র থেকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি তানজেল হোসেন খানের মৃত্যু হলে সভাপতি পদটি আবারো শূন্য হয়। পরে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুল ফাত্তাহ ও পঙ্কজ কুন্ডু।