
নিউজ ডেস্ক : আদর্শগত নয়, শুধুমাত্র নির্বাচনে জয়ী হবার উদ্দেশ্যে ঐক্যফ্রন্ট নামক একটি অকার্যকর জোট তৈরি করেছে বিএনপি। যেটি এতদিন নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকলেও বর্তমান সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর নড়ে চড়ে বসেছে। ঐক্যফ্রন্টের একাংশ মনে করছে উন্নয়নের ধারা এভাবে অতিবাহিত হতে থাকলে আগামী নির্বাচনেও বিএনপির আশার কোনো সম্ভাবনা নেই। অপরদিকে বিএনপির কিছু নেতা ঐক্যফ্রন্টের এমন নেতিবাচক চিন্তাধারা আন্দাজ করতে পেরেছেন।
তারেকপন্থী কিছু নেতা মনে করছেন, বিএনপিকে চাপে ফেলে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতেই জোট ঐক্যফ্রন্টের একাংশের নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দুই জোটের মন রক্ষা করতে গিয়ে খোদ বিএনপিই রাজনৈতিক স্বকীয়তা হারাতে বসেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপি একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বড় একটি দল হলো বিএনপি। তবে বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থে বিএনপি জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বেঁধেছে। এছাড়া নির্বাচনের পূর্বে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও হাত মেলায় বিএনপি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে দুই জোট বিএনপির কোনো উপকারে আসেনি। বরং দলকে বেকায়দায় ফেলেছে এরা। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর ঐক্যফ্রন্টের কিছু নেতা ইতোমধ্যে রং বদলাতে শুরু করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এই দুই জোটের নেতারা রাজনীতির আড়ালে বিএনপির সাথে ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ক্ষমতাসীনদের কাছে ফাঁস করে দিয়েছে। বিএনপির ছায়ার তলে থেকে এরা আমাদেরই শিকড় কাটার ষড়যন্ত্র করছে। সেই অর্থে ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির জন্য অভিশাপ বলা যায়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়াটা ঠিক হবে না। এছাড়া জোটের দলগুলো তো নেতাসর্বস্ব। এদের না আছে জনবল, না আছে জনসমর্থন। সুতরাং, বিএনপিকে জোটে নিজের অবস্থান ধরে রাখা শিখতে হবে। তবেই হয়তোবা শক্তিশালী বিএনপির পুনর্জন্ম সম্ভব।