
নিউজ ডেস্ক: বিএনপিতে মা-ছেলের দ্বন্দ্ব চলছে—মাঝেমধ্যেই এমন আলোচনা শোনা যায়। নানা বিষয়ে মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মতের অমিলের কথাও দলের ভেতর আলোচনা আছে। জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ভর্তি হওয়া নিয়েও তারেকের দ্বিমত ছিলো। পরে তারেকের মতামতকে উপেক্ষা করে হাসপাতালে নেয়া হলে, শনিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে এনজিওগ্রাম করে একটি ব্লক অপসারণ করে স্টেন্টিং করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের হৃৎপিণ্ডে আরও দুটি ব্লক রয়েছে। তবে সেখানে স্টেন্টিং করার মতো শারীরিক অবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান করছেন না তারেক রহমান।
জানা যায়, ২০২০ সালে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি চাননি তারেক। উক্ত কাজে সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকা রাখেন খালেদা জিয়ার ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্যরা।
বিগত দুই সপ্তাহ আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনে তারেক রহমানের আলাপচারিতার এক পর্যায়ে পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ আসলে, খালেদা জিয়া তারেককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজ তোমার কারণে আমরা ক্ষমতায় নেই। তুমি যদি এমন প্রকাশ্যে দুর্নীতি না করতে তবে আমরাই আজ ক্ষমতায় থাকতাম। জনগণ চোর পছন্দ করে না।
খালেদা জিয়ার এমন কথায় তারেক রহমান সেদিন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে মায়ের সঙ্গে তুই তোকারি শুরু করেন। এতে কষ্ট পান খালেদা জিয়া। ধারণা করা হয়, এরপরই তিনি স্ট্রোক করে বসেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এভাবে মায়ের ওপর চড়াও হওয়া বেমানান। যেখানে তিনি এতো ক্ষমতা পেয়েছেন শুধু তার মায়ের কারণে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিংসার রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের হাত ধরে। এখন সেই হিংসায় নিজেরাই ধ্বংসের পথে। প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও ক্ষমতার লোভের কারণে বিএনপি নিয়ন্ত্রণাধীন জোটগুলোও ভাঙছে।