
নিউজ ডেস্ক : সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে জঙ্গিবাদ যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যা দেখে জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক বিএনপির মন ভীষণ খারাপ।
হলি আর্টিজানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে রক্তক্ষরণ হয়েছিল দলটির নেতাদের হৃদয়ে। একটু পেছনে ফিরে তাকালেই দেখা যায়, গুলশানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর খালেদা জিয়া প্রথমে এক বিবৃতিতে জঙ্গিদের এই হত্যাকাণ্ডকে ‘রক্তাক্ত অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
আর এখন দলটির একটি বিশ্বস্ত সূত্র বাংলা নিউজ ব্যাংককে জানিয়েছে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি হ্রাস পেয়েছে। যার ফরে বারবার আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বললেও তারা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি গড়েই উঠেছে বন্দুকের নলের মুখে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের মাধ্যমে দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা। আর ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে জঙ্গিবাদের গোড়াপত্তন করেছিল দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলছেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক আদর্শে বিশ্বাস এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়, সুদক্ষ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। সরকার ঘোষিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অংশ হিসেবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ও আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে। যার ফলে বিএনপির মন ভীষণ খারাপ।