
নিউজ ডেস্ক : ২৪ জুন গভীর রাতে বুকের ব্যথা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কঠিন ঝগড়া হয়েছিলো তারেকের। তারেক চায়নি খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হোক, তবে অবস্থা বেগতিক দেখে মতামত উপেক্ষা করে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয় এভার কেয়ার হাসপাতালে। বর্তমানে ভালো থাকায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি। মিনি বার ভেঙে তার বাসা ফিরোজায় বানানো হয়েছে মিনি হাসপাতাল।
এদিকে কোরবানি চলে আসায় ফিরোজার বাসায় একটি দানবীয় সাইজের গরু কোরবানি দিতে চাচ্ছেন খালেদা জিয়া। যদিও তার পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানি দিবেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে খালেদা জিয়ার ইচ্ছা, অন্তত একটি গরু তার ফিরোজার বাসায় কোরবানি হোক।
গুঞ্জন উঠেছে, বিগত দুই বছর যাবত সফলতার সাথে অসুস্থতার ভান ধরে কারাগারে না যেয়ে মুক্ত থাকতে পারায় বেগম জিয়ার নামে এক সাথে চারটি বড় সাইজের সিন্ধী ও শাহীওয়াল গরু কোরবানি দিতে চান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। কোরবানি করা গরুর মাংস ও চামড়ার অর্থ রাজধানীতে অবস্থানরত বিএনপির দুস্থ কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তবে দেশি গরু বাদ দিয়ে পাকিস্তানি গরু কেনা ও কুরবানির পরিকল্পনায় নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও বেগম জিয়ার নামে কোরবানির গুঞ্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতারা।
এরই মধ্যে পছন্দ মতো পাকিস্তানি তাগড়া ও তাজা গরুর খোঁজ শুরু করেছেন মির্জা আব্বাস। নিজের গরুসহ খালেদা জিয়ার গরু কেনারও দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে। রাজধানী ও আশপাশের বড় বড় খামারগুলোতে লোক পাঠিয়ে গরু দেখা শুরু করেছেন মির্জা আব্বাসের লোকজন।
এদিকে বেগম জিয়ার নামে পাকিস্তানি গরু কোরবানির পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মির্জা আব্বাসের একজন ঘনিষ্ঠ সহচর বলেন, ম্যাডাম বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানি মাংসকে বেশি ভালোবাসেন। এ কারণেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে থেকে যেতে চেয়েছিলেন। তাই ম্যাডামকে খুশি করতে তার নামে ৪টি দেখার মতো পাকিস্তানি গরু কোরবানি দিতে চান মির্জা আব্বাস ভাই। যার তিনটি কোরবানি হবে, খিলগাঁওয়ে মির্জা আব্বাসের বাসায়। আর একটি কোরবানি হবে, খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ফিরোজার সামনে।
তিনি আরও বলেন, দেশি গরু খোঁজ করেছিলাম আমরা, কিন্তু চোখে পড়ার মতো দেশি গরুর সন্ধান পাইনি। তাই পাকিস্তানি ব্রিডের গরু কিনে কোরবানি দেয়া হবে। সেজন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি গরুর খোঁজ করছি। অবশ্য বেগম জিয়াকে জানিয়েই এসব করা হবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।