নিউজ ডেস্ক : রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একই সিটির গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা। দলীয়ভাবে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় এই নেতা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন- মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।
কিন্তু হঠাৎ করেই মঙ্গলবার দুপুরে রসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেয় রংপুর মহানগর বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা। তার এই হঠাৎ উত্তেজনা, দ্রুত নিস্তেজ হওয়া জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের।
উত্তর খুঁজতে গেলে জানা যায়, বড় স্বার্থের জন্য তাকে বাধ্য করা হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। যুদ্ধাপরাধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম সম্পর্কে ফাটল দেখাতে এমনটি করা হয়েছে। উপরে উপরে সবাই জানবে বিএনপির সাথে জামায়াতের সম্পর্ক নেই, ভেতরে ভেতরে সবই থাকবে আগের মতো। যেমনটি গত আগস্টে ‘বিএনপির সঙ্গে জোট নেই’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন জামায়াতের আমীর। এবার বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীকে সরিয়ে জামায়াতের প্রার্থীকে দিয়ে নির্বাচন করিয়ে তারা বোঝাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াতের দীর্ঘদিনের সংসারে ফাটল ধরেছে। বিএনপি ছাড়াই জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
মূলত, বৃহত্তর আন্দোলনে অন্যান্য শরীকদের পাশে পেতেই এমন বিএনপি-জামায়াতের এসন কৌশল। কারণ, যুগপৎ আন্দোলনে জোটের অন্যান্য শরীকদের পাশে চায় বিএনপি। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী দল হওয়ায় জামায়াতকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে শরীকদের। অন্য শরীকরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, জামায়াত জোটে থাকলে যুগপৎ আন্দোলনে তারা বিএনপির সাথে নেই।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, মির্জা ফখরুলের পরামর্শেই রসিক নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। আর বিষয়টি জানার পর দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা। কিন্তু শেষমেশ কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন তিনি।